বাংলাদেশ

ঢাকায় এক ঘণ্টা কোথায় ছিলেন বিক্রম?

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল চারদিকে। ছিল নতুন নতুন গুজব। গত ৩ মাস ধরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে যা ঘটেছে তা ৫২ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন। কেন এমনটি হলো? ভারতকে তো বাংলাদেশের মানুষ বন্ধু-জ্ঞান করে। ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান অনস্বীকার্য।

কিন্তু ৫ই আগস্ট বাংলাদেশে রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের পর ভারতের সেই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলো। ঠুনকো কিছু ঘটনা নিয়ে শোরগোল ফেলে দিলো ভারতীয় মিডিয়া। একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করানো হলো। সবই হলো রাজনৈতিক বিবেচনা থেকে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে টার্গেট করে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হচ্ছে এমন একটা সুর তুলে সীমান্তের ওপারে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানো হলো।

রক্ষা পেলো না বাংলাদেশের মিশনও। ভারতীয় রাজনীতিবিদরা অহেতুক, অপ্রয়োজনীয় বাক্যবাণে বাংলাদেশের গায়ে কালিমা লেপনের চেষ্টা করলেন! শান্ত এই ভূমিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠানোর প্রস্তাবও করে বসলেন। হ্যাঁ এটা সত্য যে, ৩৬ জুলাই খ্যাত ৫ই আগস্ট বদলে দিয়েছে এই ব-দ্বীপের শাসন ব্যবস্থা তথা রাজনীতির হিসাবনিকাশ। দিল্লির সমর্থনে বাংলাদেশের মানুষের ঘাড়ে চেপে বসা শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের শোচনীয় পতন হয়েছে ওই দিনে। জনরোষ থেকে প্রাণে বাঁচতে হাসিনা তার দুনিয়ার একমাত্র মিত্র ভারতেই আশ্রয় নিয়েছেন। তার প্রতি ভারতের ভালোবাসা নিখাদ। এটা প্রমাণিত।

কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশকে তারা পরিত্যক্ত ঘোষণা করবে? না, বোদ্ধাদের ভাষ্য মতে, এদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধন অকাট্য। সম্পর্কে টানাপড়েন হতেই পারে। যার প্রমাণ দিলো দিল্লি। সব আলোচনা-সমালোচনা তথা সম্পর্কের চরম টানাপড়েনের মুহূর্তে ঢাকায় পা রাখলেন দিল্লির বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। ভোরে দিল্লি থেকে দেশটির বায়ুসেনার বিশেষ চপারে উড়ে এলেন তিনি। দিনের শুরুতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুই পররাষ্ট্র সচিব একান্ত বৈঠকে বসলেন। পরে বসলেন…

সোর্স: দৈনিক দিগন্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button