হার্ট সচল ছিল না তামিমের, ৩ বার ইলেক্ট্রিক শক দেওয়া লেগেছে
হার্ট সচল ছিল না তামিমের, ৩ বার ইলেক্ট্রিক শক দেওয়া লেগেছে
তামিম ইকবালের আকস্মিক অসুস্থতার খবরে কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়কের সুস্থতা কামনায় প্রার্থনায় সবাই। এর মধ্যেই তামিমের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এডমিনের বরাতে করা এক বার্তায় বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
এডমিনের বরাতে করা তামিমের পেইজ থেকে করা লেখাটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো
‘সকালে টসের পর হালকা বুকে ব্যথা অনুভব করলে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় বিষয়টি দ্রুত দলের ফিজিও ও ট্রেইনারকে জানান। প্রাথমিকভাবে গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা মনে হওয়ায় তিনি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ গ্রহণ করেন। তবে কিছুক্ষণ পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সতর্কতার অংশ হিসেবে নিকটতম হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসা শেষে তিনি বিকেএসপিতে ফিরে আসেন।
এরপর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়। দলের (মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব) ম্যানেজার শিপন ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা সম্ভব হয়। তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়লে তাকে ফের নিকটতম কেপিজে হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে নেওয়া হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত এনজিওগ্রাম করা হয় এবং রিং পরানো হয়। বর্তমানে তিনি কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটে (CCU) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
তার সুস্থতার জন্য সবার দোয়া কামনা করা হচ্ছে, যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন।’
ক্রীড়া সাংবাদিক দেবব্রত মুখার্জি এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ২২ মিনিট ধরে সিপিআর দেওয়া লেগেছে। ৩ বার ডিসি শক দেওয়া লেগেছে। তবে হার্ট সচল হয়েছে।জাস্ট গুগল করলেই বুঝতে পারবেন, তামিম কার্যত ছিলেনই না। হার্ট কয়েকবার পুরো কাজ বন্ধ করেছিলো। এখনও স্বস্তির নিঃশ্বাস পুরো ফেলা যায় না। তারপরও এটা অবিশ্বাস্য কামব্যাক। ফিরে আসুন, ভাই।
এছাড়া নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, তামিমের মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। হার্ট সচল ছিল না। এরপর ইলেক্ট্রিক শক দেওয়া লেগেছে।