‘কেউ জয় বাংলা স্লোগান দিলে তাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হবে’
‘কেউ জয় বাংলা স্লোগান দিলে তাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হবে’ পাবনার চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেছেন, ‘যে নেত্রী তার বোনের হাত ধরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়, সেই দলের অনেক নেতাকর্মী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন আমাদের নেত্রী যেকোনো সময় টুক করে দেশে ঢুকে পড়বে। ভুলে যান সেইসব দিনের ইতিহাস। চাটমোহরে যদি কেউ জয় বাংলা স্লোগান দিতে চান তাহলে তাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হবে। আগামী একশ বছরের মধ্যেও কেউ চাটমোহরে জয় বাংলা স্লোগান দিতে পারবে না।’
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে পাবনার চাটমোহর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র্যালি পূর্ব সংক্ষিপ্ত পথসভায় একথা বলেন তিনি।
হাসাদুল ইসলাম হীরা আরো বলেন, বিগত সতেরো বছরে আমার উপরে অনেক জুলুম নির্যাতন করেছেন। জেল খাটিয়েছেন, চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে থাকতে দুই দুইবার বহিষ্কার করিয়েছেন। পাবনা-৩ আসনে আর কোনো নেতা জেল কাটেননি। হরতাল অবরোধের সময় নেতাকর্মীদের নিয়েই আমি সকল ভয় উপেক্ষা করে মাটি থেকেছি। অথচ আজকে দলের সুদিনে এলাকায় অতিথি পাখি অনেক দেখা যায়।
পাবনা-৩ আসনে কে দলের মনোনয়ন পাবেন তারেক রহমান ই ভালো জানেন। দলের দুঃসময়ে আপনারা কেউ মাঠে থাকেননি কেউ অত্যাচার জুলুম সহ্য করেননি। আপনারা এখন বুক ফুলিয়ে আনন্দ চিত্তে চাটমোহরের মাটিতে মিছিল করছেন, মনোনয়ন চাচ্ছেন, আমি আপনাদের সাধুবাদ জানাই। কারণ আপনারা ধানের শিষের কথা বলছেন। আপনারা সুসময়ের বন্ধু, দুঃসময়ে হারিয়ে যাবেন চাটমোহরের মাটি থেকে।
আগামীতে কে এই আসনে ধানের শিষ মনোনয়ন পাবেন আর কে পাবেন না, চাটমোহর উপজেলা বিএনপিতে কে সাধারণ সম্পাদক হবে তার অনেক গুঞ্জন শুনেছেন। আপনাদের ছোট্ট একটা মেসেজ দেই মেসেজটা মিলিয়ে দেখবেন। আগামীতে ধানের শীষের মনোনয়ন আমি হীরা পাব ইনশাআল্লাহ। তারেক রহমানের এই মেসেজ আপনাদের কাছে পৌঁছে দিলাম।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, গুনাইগাছা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা, ডিবি গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত পথসভা শেষে হাসাদুল ইসলাম হীরার নেতৃত্বে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের একটি র্যালি বের হয়ে চাটমোহর পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। চাটমোহর বাসস্ট্যান্ড থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে জার্দিস সোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মিছিল নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।