ঠিকাদারকে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে
রাজবাড়ীর পাংশায় ঠিকাদারকে বিএনপির কার্যালয়ে জিম্মি করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ঠিকাদারকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। জিম্মি করে নয়, অন্যের পাওনা টাকা নিয়ে বিএনপির কার্যালয়ে মীমাংসায় বসেছিলেন বলে দাবি অভিযুক্ত যুবদল নেতার।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের কাচারি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ঠিকাদার গোলাম মোস্তফা (লুলু) কালবেলাকে বলেন, কয়েক দিন ধরে বিএনপি নেতা কালাম মিয়া বিভিন্ন সময় আমাকে ফোন করে দেখা করতে বলে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাগদুলী বাজারে একটি হোটেল থেকে নাশতা খেয়ে বের হই। এ সময় বিএনপি নেতা কালাম মিয়া ও মাসুদসহ কয়েকজন আমাকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে কাচারি মোড় এলাকায় বিএনপির কার্যালয়ে নিয়ে জিম্মি করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সেখানে বিএনপি নেতা সালাম মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, একপর্যায়ে ১০ লাখ থেকে কমিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। আমি চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে বিএনপির অফিসে ৫-৬ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। এর আগে কালাম মিয়া আমাকে ফোন করে দেখা করতে বলে। বিষয়টি আমার ছেলে জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মৌরাট ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি সালাম মিয়া কালবেলাকে বলেন, সকালে চা খাওয়ার জন্য কাচারি মোড় আসি। এখানে এসে বিএনপির অফিসের সামনে লোকজনের ভিড় দেখতে পাই। অফিসে গিয়ে দেখি ঠিকাদার লুলু ভাই বসে আছে। এ সময় মাসুদ নামের এক ব্যক্তি লুলুর কাছে পুকুর খনন করার টাকা চায়। চাঁদাবাজির অভিযোগ মিথ্যা। পুলিশ আমাদের থানায় ডেকেছিল। এ বিষয় নিয়ে আগামী বুধবার থানায় বসার কথা রয়েছে।
পুকুর খনন কাজে ভেকু প্রদানকারী মাসুদ বলেন, ৩ বছর আগে আমি লুলু ভাইয়ের একটি পুকুর খনন করার জন্য ভেকু দিই। প্রথম দিকে তার সঙ্গে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে ৪ ফুট গভীর পুকুর খনন করার কথা হয়। কিন্তু তিনি আরও অতিরিক্ত ৪ ফুট পুকুর খনন করান। অতিরিক্ত ৪ ফুট পুকুর খননের টাকা আজ পর্যন্ত দেননি। বিভিন্ন সময়ে ফোন দিলে তিনি নানারকম তালবাহানা করেন। বৃহস্পতিবার সকালে বাগদুলী বাজারে তার সঙ্গে দেখা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। পরে কাচারি মোড়ে বিএনপির অফিসে বসে তার সঙ্গে টাকার বিষয়ে কথা বলি।
এ ঘটনার বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, কাচারী মোড়ে একজন ঠিকাদারকে আটক করে মারধর করছে বলে আমরা সংবাদ পাই। দ্রুত ঘটনাস্থলেগিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে জানতে পারি অভিযুক্তরা তার কাছে পুকুর খননের টাকা পাবে। এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোর্স: দৈনিক দিগন্ত